*প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন আমাদের সাথে * বিসিএস পরীক্ষা এর প্রস্তুতি নিন আমাদের সাথে* আনলিমিটেড টেস্ট রয়েছে আপনার জন্য এই ব্লগে * নতুন ও আপডেট তথ্য পেতে পাশের "follow/অনুসরণ" বাটনে ক্লিক করুন * নিজেকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করুন * আপনার শিশুকে কাব কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করুন * আপনার বাড়ি, বিদ্যালয়, অফিসের আঙ্গিনায় সবজির বাগান করুন, নিরাপদ ও বিষ মুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন * করোনার কমিউনিটি স্প্রেইডিং রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন * অযথা পাড়া বেড়ানো, চায়ের দোকানে আড্ডা পরিহার করুন * পরিবারে অধিক সময় দেয়ার চেষ্টা করুন * ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন *

স্কাউট (কাব) ওন এর জন্য কয়েকটি উপাখ্যান


উপাখ্যান -১
আল্লাহর রাসুল। আল্লাহ তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য তাঁর সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটির কোরবানি চেয়েছেন। তিনি আল্লাহর সিন্তুষ্টির জন্য একশত উট, একশত দুম্বা জবাই করেছেন। কিন্তু তাতেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়নি। অনেক ভেবে তিনি দেখলেন যে, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় তাঁর একমাত্র পুত্র।তিনি ঠিক করলেন আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালন করতে নিজের ছেলেকেই কোরবানী দেবেন।ছেলেকে হাত-পা বেঁধে শুইয়ে রেখে নিজের চোখ বেঁধে ছেলেকে জবাই করলেন। আল্লাহ তাঁর তাকওয়া দেখে সন্তুষ্ট হয়ে কোরবানী কবুল করলেন। ছেলের পরিবর্তে একটি পশু কোরবানী কবুল করলেন। তিনি চোখ খুলে দেখলেন একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে গেছে। ছেলে তাঁর পেছনে দাড়িয়ে আছেন। পিতার এই মহান ত্যাগের জন্য তিনি মুসলিম জাতীর পিতা হিসেবে পরিচিত।
বন্ধুরা, তোমরা কি কেউ বলতে পারবে, তিনি কে?
তিনি হলেন মুসলিম জাতীর পিতা ইব্রাহীম (খালিল্লাহ)। এই উপাখ্যানের সাথে কাব প্রতিজ্ঞার প্রথম অংশ “আল্লাহ ও আমার দেশের প্রতি কর্তব্য পালন” অংশের সাথে মিল রয়েছে।

উপাখ্যান – ২
শত্রুদের প্রবেশ রোধ করতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন শহরের চার পাশে পরিখা খনন। সাথীদের কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করতে বললেন। তিনি নিজেও একটি দলে যুক্ত হলেন। সর্বপ্রথম তিনিই মাটির ঝুরি মাথায় তুলে নিলেন। পরিখা খনন শুরু হল। শীঘ্রই পরিখা খনন শেষ হলো। শুত্রুদের হাত থেকে শহর রক্ষা পেল। সকলের সাথে মিলে মিশে দেশের মানুষকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যিনি কাজ করলেন তিনি একজন মহামানব। সকল মহামানবের সর্দার। এই পৃথিবীর রহমত স্বরূপ।
বন্ধুরা, তোমরা কি কেউ তাঁর নাম জানো?
তিনি হলেন আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স)।
এই উপাখ্যানটির সাথে কাব প্রতিজ্ঞার প্রথম অংশ “আল্লাহ ও আমার দেশের প্রতি কর্তব্য পালন” অংশের সাথে মিল রয়েছে।

উপাখ্যান - ৩
ন্যায় পরায়ন, ধর্মভীরু রাজা। বয়সের ভাড়ে ক্লান্ত। ঠিক করলেন তাঁর বড় পুত্রকে রাজা করবেন। বড় পুত্রও বাবার মতোই ধর্মপ্রাণ। পিতৃআজ্ঞা পালনে নিজের জীবন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। দিন তারিখ ঠিক হল নতুন রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানের। কিন্তু বাধ সাধলেন ছোট রাণি। তিনি রাজার অসুস্থতার সময় সেবা যত্ন করে খুশি করেছিলেন। রাজা খুশি হয়ে ছোট রাণিকে উপহার দিতে চাইলেন। ছোট রাণি পরে সময় হলে চেয়ে নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এখন তিনি সেই পুরস্কার চাইলেন।রাজা শুধালেন- কি পুরস্কার চাও রাণি? ছোট রাণি উত্তর দিল- আপনার বড় পুত্রকে বনবাসে পাঠিয়ে আমার পুত্রকে রাজা করুন। রাজা নিরুপায়। ছোট রাণির কথা না মেনে নিলে রাজার কথার সত্যতা থাকে না। তিনি বড় পুত্রকে বনবাসে যাওয়ার আদেশ দিলেন। বড় পুত্র পিতার আদেশ পালন করতে স্ত্রীকে নিয়ে বনবাসে চলে গেলেন। সঙ্গে গেলেন এক ভাই।
বন্ধুরা, তোমরা কি কেউ বলতে পারবে, রাজার এই বড় পুত্রের নাম কী?
হ্যাঁ, তাঁর নাম রাম চন্দ্র। তিনি পিতৃ আজ্ঞা পালন করতে বনবাসে গিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণ।
এই উপাখ্যানের সাথে কাব আইনের “বড়দের কথা মেনে চলা” অংশের সাথে মিল রয়েছে।

উপাখ্যান – ৪
জন্মের আগেই বাবা মারা যান ছেলেটির। ছয় বছর বয়সে মাতাও পরলোক গমন করেন। এতিম ছেলে বড় হতে থাকেন দাদার কাছে। কিছুদিন পর দাদাও মারা যান। তারপর থেকে ছেলেটিকে লালন পালন করেন তাঁরা চাচা। তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দেখে এক খ্রিষ্টান পাদ্রি ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন যে, ছেলেটি বড় হয়ে মহামানব হবেন। ছেলেটির চেহারায় নূরের জ্যোতি ফুটে উঠেছিল। ছেলেটি এক ধনী বিধবার মেষ চড়ানোর কাজ করতেন। তাঁর নূরানী চেহারা দেখে মহিলাও বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি ছেলেটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ছেলেটি নিজের খেয়ালে কিছু না করে তার চাচার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করেন। চাচা বিচক্ষণতার সাথে প্রস্তাবটি বিবেচনা করে ছেলেটিকে বিয়ের পক্ষে মত দেন। ছেলেটি চাচার মত জানার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ছেলেটি আল্লাহর রহমতে অনেক সম্পদের মালিক হন। হন মহামানবদের সর্দার।
বন্ধুরা তোমরা কি কেউ বলতে পারবে, এই ছেলেটির নাম কি?
ছেলেটি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স)।
এই উপাখ্যানটির সাথে কাব আইনের “নিজের খেয়ালে কিছু না করা” অংশের সাথে মিল রয়েছে।



উপাখ্যান – ৫
মানব দরদী বাদশা।প্রতি রাতে তিনি ছদ্মদেশ ধারণ করে তাঁর দেশের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াতেন। গরীব দুঃখীর খোজ খবর নিতেন, সাহায্য করতেন। এক রাতে তিনি এক গোয়ালার বাড়ির কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি শুনতে পেলেন গোয়ালার মেয়ে তার মাকে দুধে পানি মেশাতে বারণ করছেন। খলিফার লোকজন জানতে পারলে শাস্তি দেবেন বলে হুশিয়ারও করছেন।কিন্ত মা বলছেন- খলিফার লোকজন তো দেখছে না। তখন মেয়েটি বললেন- খলিফার লোক না দেখুক, আল্লাহ তো দেখছেন। কোনো কিছুই তাঁর দৃষ্টির বাইরে নয়। খলিফা সে রাতে বাড়ি চলে গেলেন। পরে তিনি এই গোয়ালার মেয়েটির সততা দেখে নিজের পুত্রের সাথে মেয়েটির বিবাহ দিলেন।
বন্ধুরা, তোমরা কি কেউ বলতে পারবে, এই পরোপকারী বাদশার নাম কী?
তিনি হলেন খোলাফায়ে রাশেদিনের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা)। তাঁর চরিত্রের সাথে কাব প্রতিজ্ঞার  “প্রতিদিন কারো না কারো উপকার করতে” অংশের সাথে মিল রয়েছে।


আপনার বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দিন নিজে নিজেই মোবাইল ফোনে

আপনার বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দিন নিজে নিজেই মোবাইল ফোনে

প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনের ডাটা কানেকশন ওপেন করুন। এবার (চিত্র: 01) গুগলক্রোম অ্যাপ ওপেন করুন।
সার্সবার/অ্যাড্রেসবারে লিখুন https://www.dpe.gov.bd এবং “Go” বাটনে চাপুন (চিত্র: 02)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হোমপেজ ওপেন হবে (চিত্র: 03)। এবার পেইজটি নিচের দিকে স্ক্রল করুন। “আভ্যন্তরিন ই-সেবা” শিরোনামে বিভাগে কয়েকটি লিংকের তালিকা পাবেন (চিত্র: 04)। এবার তালিকা থেকে “প্রাথমিক বিদ্যালয় ই-ব্যাবস্থাপনা” লিংকে ক্লিক করুন।
“প্রাথমিক বিদ্যালয় ই-ব্যবস্থাপনা” শিরোনামে পেইজ ওপেন হবে (চিত্র: 05)। স্ক্রল করে নিচের দিকে গিয়ে “ব্যবহারকারী প্রবেশ/নিবন্ধন” অংশে আপনি আগে থেকেই এই ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারী হলে আপনার ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে “প্রবেশ করুন” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে প্রবেশ করুন (চিত্র: 06)।
আপনি নতুন ব্যবহারকারী হলে পেইজটি আরো স্ক্রল করে নিচে গিয়ে “ব্যবহারকারী নিবন্ধন” অংশের ফরম যথাযথ পূরণ করে “নিবন্ধন করুন” বাটনে ক্লিক করুন (চিত্র: 07, 08)।
পুনরায় “ব্যবহারকারী প্রবেশ/নিবন্ধন” অংশে গিয়ে আপনার ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে “প্রবেশ করুন” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে প্রবেশ করুন (চিত্র: 06)।
“প্রাথমিক বিদ্যালয় ই-ব্যবস্থাপনপা ড্যাশবোর্ড” পেইজ ওপেন হবে (চিত্র: 09)। এবার “পাঠ্যপুস্তক চাহিদা/ উদ্বৃত্ত ২০১৯” লিংকে ক্লিক করুন।
“পাঠ্যপুস্তক চাহিদা/ উদ্বৃত্ত ২০১৯” পেইজ ওপেন হবে (চিত্র: 10)।পেইজটি নিচের দিকে স্ক্রল করে লাল বর্ণের লেখা লিংক “এই লিংকে ক্লিক করে” ক্লিক করুন (চিত্র: 11)।
“বিদ্যালয় নিবন্ধন” নামে একটি পেইজ আসবে (চিত্র: 12)। পেইজটি স্ক্রল করে নিচের দিকে গিয়ে “বিদ্যালয়ের তালিকা” অংশে বিদ্যালয়ের ইএমআইএস কোড ও ধরন কোড দিন (চিত্র: 13)।এবার “বিদ্যালয়ের তালিকা” নামক বাটনে ক্লিক করুন।
“বিদ্যালয়ের তালিকা” শিরোনামে পেইজ ওপেন হবে (চিত্র: 14)। পেইজটি স্ক্রল করে নিচের দিকে এলে তালিকায় আপনার কাঙ্খিত বিদ্যালয় পাবেন (চিত্র: 15)। এবার ডানদিকে স্ক্রল করলে “চাহিদা/উদ্বৃত্ত হালনাগাদ” বাটন পাবেন (চিত্র: 16)। বাটনটিতে ক্লিক করুন।
বিদ্যালয়ের সাধারণ তথ্যাবলি আপডেট করার জন্য “পাঠ্যপুস্তক চাহিদা/ উদ্বৃত্ত ২০১৯” শিরোনামে একটি পেইজ ওপেন হবে(চিত্র: 17)। পেইজটি স্ক্রল করে নিচের দিকে প্রতিটি টেক্স্টবক্সে সঠিক তথ্য দিয়ে “তথ্য হালনাগাদ করুন” বাটনে ক্লিক করুন (চিত্র: 18-24)। এন্ট্রি করা নতুন তথ্য সম্বলিত পেইজটি আবার আসবে। এবার পেইজটি নিচের দিকে স্ক্রল করে “সংরক্ষণ করুন” বাটনে ক্লিক করুন ( চিত্র: 25)।যে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষণ মাধ্যম “বাংলা” সেক্ষেত্রে চিত্র: 19 এ শিখন মাধ্যম বাংলা সিলেক্ট করতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের শিক্ষার্থী কোনো বিদ্যালয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে শিখন মাধ্যম “বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যম (3)” সিলেক্ট করতে হবে।
একটি স্প্ল্যাশ স্ক্রিণ আসবে (চিত্র: 26)। তথ্যসমূহ হালনাগাদ সংরক্ষণ হয়ে পরবর্তী পেইজের তথ্য এন্ট্রির জন্য অপশন আসবে (চিত্র: 27)।“পরবর্তী ধাপ” লেখা বাটনে ক্লিক করুন।
শিক্ষার্থী সংক্রান্ত তথ্য – প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি এন্ট্রি ফরম আসবে। শিখন মাধ্যম বাংলা ও ইংরেজি উভয় হলে উভয় মাধ্যমের শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করুন (চিত্র: 28)। এবার বাংলা ভার্সনের ধর্মভিত্তিক শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করুন (চিত্র: 29)। এবার ইংরেজি ভার্সনের ধর্মভিত্তিক শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করুন (চিত্র: 30)। গতবছরের উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তকের তথ্য এন্ট্রি করে “তথ্য পুন:যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন (চিত্র: 31)।
এন্ট্রি করা তথ্যগুলো পুনরায় প্রদর্শিত হবে (চিত্র: 32, 33)। কোনো ত্রুটি থাকলে “তথ্য পরিমার্জন করুন” বাটনে ক্লিক করে ত্রুটি সংশোধন করে “তথ্য পুন:যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন। আর কোনো ত্রুটি না থাকলে “সংরক্ষণ” বাটনে ক্লিক করুন (চিত্র: 34)।
কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করলে সয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী ধাপ “প্রথম শ্রেণি” এর এন্ট্রি ফরম আসবে (চিত্র: 35)। প্রতিটি তথ্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির মতোই পুরণ করে সংরক্ষণ করুন। এভাবে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তথ্য এন্ট্রি দিন। এবার ফরম পুরনের অবস্থা প্রদর্শিত হবে। এন্ট্রি ত্রুটিমুক্ত হলে ইন্ডিকেটর সবুজ রং এর এবং ১০০% দেখাবে ( চিত্র: 36)। স্ক্রল করে পেইজটির নিচের দিকে “তথ্য ডাউনলোড ও মূদ্রণ করুন” বাটনে ক্লিক করুন (চিত্র: 37)।
আপনার এন্ট্রি করা তথ্য সম্বলিত পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড হবে (চিত্র: 38)। ফাইলটি প্রিন্ট করে বিদ্যালয়ে সংগ্রহ করুন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিন। সফ্টকপি আপনার মোবাইল মেমোরিতে জমা রাখুন। পরবর্তীতে এটা অনেক কাজে লাগতে পারে।






































Payfixation করুন নিজে নিজেই মোবাইলফোনে

Payfixation করুন নিজে নিজেই মোবাইলফোনে
বাংলাদেশের সকল সরকারি চাকরিজীবীর বেতনে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট যোগ হয় অনলাইনে সয়ংক্রিয়ভাবে। ইনক্রিমেন্ট যোগ হয়ে নতুন মূলবেতন নির্ধারন হওয়ার পর তার কপি প্রিন্ট করে হিসাব রক্ষণ অফিসে অনুমোদন হওয়ার পর প্রিন্ট কপি সার্ভিসবুকে লিখে সংরক্ষণ করা হয়। এই কাজটির দায়িত্ব প্রতিটি বিভাগে কর্মরত হিসাব শাখার কর্মচারী বা করণীকের। অফিসের অন্যান্য কাজের সাথে বছরের এসময়ে তাদের উপর এটি বাড়তি চাপ হয়ে যায়| তাই, এ কাজ টি যার যার মতো নিজে নিজে করে ফেললে অফিসের কাজে  গতিশীলতা আসবে। সকলের পক্ষে অনলাইনে এ কাজটি করা কঠিন বলে একাজটি কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে দোকানীকে দিয়ে এ কাজ করিয়ে ২০০-৩০০ টাকা খরচ করে একটি প্রিন্ট কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়। তারপর তা দেখে সার্ভিসবুক হালনাগাদ করা হয়। 
আমার মতে শিক্ষকগণের এ কাজটি নিজের শিখে নেওয়া উচিত। তাই অতি সহণশীল ও অক্লান্তকর্মী শিক্ষকগনসহ বাংলাদেশের সকল সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আপনি আপনার এ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে নিজেই করে ফেলুন নিজের Payfixation.
শুরুতে আপনার মোবাইলের ডাটা কানেশনটি ওপেন করে নিন। এবার মোবাইলের গুগলক্রোম অ্যাপে গিয়ে (চিত্র: ০১) সার্স বারে টাইপ করুন: payfixation.gov.bd এবং কীবোর্ডের Go বাটনে (চিত্র: 02) চাপ দিন।
অনলাইনে বেতন নির্ধারনী শিরোনামে (চিত্র: ০৩)একটি পেইজ ওপেন হবে।পেইজটির নিচের দিকে (চিত্র: ০৪) “পরবর্তী ধাপ” লেখা বাটনে চাপ দিন।
জরুরী নির্দেশনা শিরোনামে (চিত্র: ০৫) আরেকটি পেইজ আসবে। নিচের দিকে নেমে (চিত্র: ০৬) “আমি প্রিন্ট নিয়েছি, পড়েছি এবং বুঝেছি।” নামের অপশনে ক্লিক দিয়ে টিক চিহ্ন দিয়ে “পরবর্তী” লেখা বাটনে চাপুন।
অন্য একটি পেইজ ওপেন হবে।এতে (চিত্র:07) দুই পায়ের ছাপযুক্ত আইকন ও “ইনক্রিমেন্ট” লেখা এর মধ্যে ক্লিক করুন।
Information শিরোনামে একটি পপআপ ম্যাসেজ বক্স (চিত্র: 08)আসবে। এবার “হ্যা” বাটনে চাপুন।
এবার “অনলাইনে বেতন নির্ধারনী লগ ইন” শিরোনামে নতুন পেইজ (চিত্র:09) আসবে। টেক্স্ট বক্সে প্রথমে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং তারপর আপনার ২০১৫ সালে অনলাইনে বেতন নির্ধারণ হওয়ার ডকুমেন্ট যা আপনার সার্ভিসবুকের ভিতর সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে তাতে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে দেওয়া ভেরিফিকেশন নম্বর দেওয়া আছে। ভেরিফিকেশন নম্বরটি চার চার আট সংখ্যার এবং মাঝখানে একটি হাইফেন রয়েছে। হাইফেনসহ সেই নয় ক্যার‌্যাক্টারের ভেরিফিকেশন নম্বরটি লিখুন। তারপর নিচে লেখা দেখে বর্ন বা সংখ্যাগুলো উপরের টেক্স্টবক্সে লিখে “লগইন” বাটনে চাপুন।
“Information” নামে আরেকটি মেসেজবক্স আসবে।(চিত্র: 10) “OK” বাটনে চাপুন।
আপনার পূর্বে দেওয়া মোবাইল নম্বরে (চিত্র: 11) একটি মেসেজ যাবে। এবং নতুন আরেকটি পেইজ (চিত্র: 12) আসবে। এতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর থাকবে এবং নিচে একটি টেক্স্টবক্সে আপনার মোবাইলে যাওয়া মেসেজ থেকে চার সংখ্যার কোডটি বের করে লিখে “Validate” বাটনে চাপুন।
এবার বেতন নির্ধারনের একটি ব্ল্যাংক পেইজ (চিত্র: 13) আসবে। উপরের দিকের “ইনক্রিমেন্ট” লেখা লিস্টবক্স থেকে (চিত্র: 14) ইনক্রিমেন্টের তারিখ নির্বাচন করুন। “01-07-2018” তারিখটি নির্বাচন করে (চিত্র: 15)“GO” বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার মূলবেতন সয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ হওয়া পেইজটি আসবে। এখন শুধু প্রিন্ট নিবেন। প্রিন্ট আইকনে চাপ দিলে (চিত্র: 17) “Save page as...” পেইজ আসবে। “PDF” লেখা ও নিচের দিকে তীর চিহ্ন দেওয়া বৃত্তাকার বাটনটিতে চাপ দিন। আরেকটি পেইজ (চিত্র: 18) আসবে। এবার “Save” লেখা বাটনে চাপ দিন। আপনার বেতন নির্ধারনী পেইজটি ডাউনলোড হয়ে আপনার মোবাইলের মেমোরিতে জমা হবে। ফাইলটি প্রিন্ট করে জমা দিয়ে দিন অফিসে। আর কোনোদিন আপনাকে আপনার payfixation এর জন্য কারো মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না (ইনশা আল্লাহ)।